চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করা জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে তাকে (জাহাঙ্গীর) ড্যামি প্রার্থী বলায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তারই চাচা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিমুল হক আজিম চরম দুর্ব্যবহার করেছেন দৈনিক হিমছড়ি পত্রিকার চকরিয়া অফিস প্রধান ও চকরিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক আবদুল মজিদের সঙ্গে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আবদুল মজিদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে এই দুর্ব্যবহার করেন চেয়ারম্যান আজিম। শুধু তাই নয়, ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আবদুল মজিদকে গুম করে ফেলারও পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দুর্ব্যবহারের শিকার আবদুল মজিদ।
এদিকে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক আবদুল মজিদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার ও গুম করার জন্য হাকাবঁকা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চকরিয়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। এ ধরণের দুর্ব্যবহার ও হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ার করেছেন ভবিষ্যতে কোন সাংবাদিকের সঙ্গে এ ধরণের অসদাচরণ করলে তা কোন অবস্থাতেই বরদাশত করা হবে না। একইসঙ্গে এ ধরণের আচরণ সাংবাদিক সমাজ কারো কাছ থেকে আশা করেনা। এর পরও যদি কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরণের আচরণ করার ধৃষ্টতা দেখান তাহলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে লেখনির মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, এ ধরণের কথিত ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কে, কোথায়, কখন, কিভাবে চলাফেরা করেন তা সাংবাদিক সমাজের নখদর্পনে। অপরদিকে সাংবাদিক আবদুল মজিদের সঙ্গে ঔদ্ব্যর্তপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে আজ ৩০মার্চ/বুধবার সন্ধ্যায় চকরিয়া প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, সদ্য সাবেক সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ এম ওমর আলী, কর্মরত সাংবাদিক যথাক্রমে রফিক আহমদ, এম মোস্তফা কামাল, চকরিয়া নিউজ ডটকম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ছোটন কান্তি নাথ, জহিরুল আলম সাগর, এম এইচ আরমান চৌধুরী, মুহাম্মদ আবদুল মতিন চৌধুরী, এম রায়হান চৌধুরী, বি.এম হাবিব উল্লাহ, এম আলী হোসেন, জামাল হোছাইন, এস এম হান্নান শাহ, মুকুল কান্তি দাশ, একেএম বেলাল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম খোকন, জিয়াউদ্দিন ফারুক, অলিউল্লাহ রণি, মোহাম্মদ জাহেদ, এম মনছুর আলম, শাহজালাল শাহেদ, এম নুরুদ্দোজা জনি, জমির হোছাইন ও আবদুল করিম বিটু প্রমূখ নেতৃবৃন্দ ।
পাঠকের মতামত: